Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী








আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?

উত্তর : দেশের আইন অনুযায়ী এই তালাক হয়ে গেছে। পরবর্তী বিবাহও শুদ্ধ হয়েছে। আগে যেই ফোনালাপ বা দেখা সাক্ষাৎ করতো, একথাটি প্রমাণ করার জন্য শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে যথেষ্ট রশদ সাবেক স্বামীর হাতে নেই। তাদের মিল ছিল না কি অমিল এর সাথে...





যদি কেউ কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কর্জ নিয়ে কোন জমি ক্রয় করে কিংবা পরিবারের জন্য খরচ করে। পরবর্তীতে এই টাকা যদি সে হারাম উপার্জন থেকে পরিশোধ করে, তবে এই জমি কি তার জন্য হালাল হবে? আর যদি কোন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ আয় থেকে উপার্জিত টাকা যা কোন ব্যাক্তি মালিক নয় এমন টাকা থেকে কর্জ নিয়ে কোন সম্পদ ক্রয় করে এবং এই টাকা যদি সে হারাম উপার্জন থেকে পরিশোধ করে, তবে এই সম্পদ কি তার জন্য হালাল হবে?

উত্তর : সম্পত্তি লাভের মাধ্যম যদি হারাম টাকা হয়, তাহলে তা নগদ, বাকী, ঋণ বা বিলম্বিত পরিশোধ সর্বাবস্থায়ই নাজায়েজ। ঋণ করে কেনা বা নগদে কেনা দু’টোর ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে হালাল টাকায় কেনা। যে কোনো সময় ঋণ বা মূল্য পরিশোধ করার...


আর্কাইভ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ